রাইস ব্র্যান ওয়েল কতটুকু স্বাস্থ্যকর রান্নায় তেলের ভূমিকা যেমন অনেক, তেমনই রান্নায় তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিন্তু অনেক সতর্ক থাকতে হয়। বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসম্মত ভোজ্য তেলের চাহিদা বাড়ছে। স্বাস্থ্যসম্মত তেল হিসেবে বাজারে অলিভ অয়েল, সানফ্লাওয়ার ওয়েল এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে সম্প্রতি রাইস ব্র্যান ওয়েল এর চাহিদাও বাড়ছে। অনেক দেশে ধানের কুঁড়া বা তুষ থেকে তৈরি ভোজ্য তেল কে বলা হয় রাইস ব্র্যান ওয়েল। জাপান, ভারত এবং চিন সহ এশিয়ার অনেক দেশে রান্নার তেল হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়
রাইস মিল থেকে উপজাত হিসেবে পাওয়া যায় ধানের তুষ এবং এটা সাধারণত পশুর খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হতো বা বর্জ্য হিসেবেও ফেলে দেওয়া হত। কিন্তু সম্প্রতি এর পুষ্টিগুণ বিবেচনায় ভোজ্য তেল হিসেবে এর চাহিদা বাড়ছে। পুষ্টিবিদদের মতে, খাবার তেলে যে সব খাদ্যগুণ থাকা উচিত তার সব দিক বিবেচনায় অলিভ ওয়েল, সানফ্লাওয়ার ওয়েলের, পাশাপাশি ধানের তুষের তেল ও অনেক ভালো ও স্বাস্থ্যসম্মত। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই তেলেআছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যেটা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি৷ তাছাড়া ভিটামিন ই ও ভিটামিন কে র অন্যতম উৎস হচ্ছে। এতে ভাল ফ্যাটও আছে৷
এতে গবেষণায় এটাও দেখা গেছে যে, হার্টের অসুখ ও টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায় রাইস ব্র্যান ওয়েল। আরো আছে স্বাস্থ্যকর চর্বি ও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি। বিশেষ করে নারীদের জন্য এটা খুবই উপকারী। পুষ্টিবিদরা বলছেন। মেয়েদের নার্ভাস সিস্টেমের জন্য এটা দারুণ কাজ করে। এছাড়া ইমিউন বুস্ট এনেও কাজ করে এটি।
এ ছাড়া মেনোপজের সময়ে টায় রাইস ব্র্যান ওয়েল বেশি ভাল। নারীদের জন্য রাইস ব্র্যান অয়েল হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল৷ কারণ এই তেল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে। কয়েকটি গবেষণা তথ্য থেকে জানা গেছে, অন্যান্য ভেজিটেবল ওয়েল এর চাইতে। রাইস ব্র্যান ওয়েল। এর উপকারিতা অনেক বেশি।
এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে, রাইস ব্র্যান ওয়েলও তিলের তেলের মিশ্রণে ব্লাড প্রেসার ও কোলেস্টেরল উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়। একটি গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসের ব্যবহার প্রায় 30% পর্যন্ত ডায়াবেটিস কমিয়ে থাকে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, যেহেতু এই তেলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে। তাই বিভিন্ন ভাবে এর সুফল পাওয়া যায়।