পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ অনলাইনে অনুসন্ধান করছেন? আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ সম্পর্কে দুইটি অনুচ্ছেদ জানাবো যার মাধ্যমে আপনি পরীক্ষায় ১০০% ভালো ফলাফল করতে পারবেন । সেহেতু এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ রচনা
পহেলা বৈশাখ বাঙালির জীবনে অতি পরিচিত একটি ঐতিহাসিক দিন। বাংলা বছরের বৈশাখ মাসের প্রথম দিনকে পহেলা বৈশাখ বলা হয়। পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ নামেও পরিচিত। পহেলা বৈশাখ বাঙালি তথা বাংলাভাষী মানুষের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও একটি সার্বজনীন অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ-ভারত ও পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বসবাসকারী বাঙালিরা পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানে পালন করে থাকেন।
পহেলা বৈশাখের দিনের সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নতুন পোশাক পরিধান করে পান্তা-ইলিশ খাবার মাধ্যমে বাঙালি জাতি সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেয়। পহেলা বৈশাখের দিনে নারী-পুরুষ বৃদ্ধ শিশু সকলেই নতুন পোশাকে পরিধান করেন এবং পুরাতন বছরের সমস্ত অবসাদের অবসান ঘটিয়ে নতুন জীবন শুরু করেন। পহেলা বৈশাখের দিনে প্রায় সমস্ত দোকানপাট নতুনভাবে সেজে ওঠে দোকানে দোকানে মিষ্টির বিতরণ করে ও হালখাতা অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এই দিনে পুরাতন হিসাবে চুকিয়ে খোলা হয় নতুন হিসাবের খাতা । কেবলমাত্র শহর নয় বাংলাদেশের প্রায় সকল গ্রামে বৈশাখী মেলা দেখা যায় পহেলা বৈশাখের দিনে।
পহেলা বৈশাখের প্রধান আকর্ষণ হল মৃৎশিল্প ও হস্তশিল্পের বিভিন্ন জিনিসপত্র। এই মেলাতে এসব সামগ্রি কম মূল্যে পাওয়া যায়। বৈশাখী মেলার প্রধান আকর্ষণ শিশু-কিশোরদের জন্য নাগরদোলা, পুতুল নাচ, সার্কাস। এছাড়া বাংলাদেশের বেশ কিছু অঞ্চলে পহেলা বৈশাখের দিনে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয় ও শহরাঞ্চলে এই দিনে সকলের মঙ্গল কামনায় শোভাযাত্রা বের হয়। পহেলা বৈশাখের দিনে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়।
এ সকল অনুষ্ঠান ছাড়াও এই দিনে রেডিও ও টেলিভিশনে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান প্রচার করা হয় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে। পহেলা বৈশাখ আমাদের সকল বাঙ্গালীদের প্রাণের একটি অনুষ্ঠান। আমাদের সকলের উচিত আমাদের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখা এবং প্রতিবছর ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে পহেলা বৈশাখ পালন করা।
পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ রচনা ২
বাঙালির কাছে পহেলা বৈশাখ অতি গুরুত্বপূর্ণ ও এটি সার্বজনীন অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বসবাসকারী সকল বাঙালিরা বৈশাখ মাসের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন । পহেলা বৈশাখের এই দিনে পুরনো বছরের সমস্ত গ্লানি ধুয়ে মুছে চিহ্ন ক্লান্ত অবসানের ঘটিয়ে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালিরা বাংলা নববর্ষ পালন করে থাকেন। পহেলা বৈশাখের দিনে বাংলার প্রতিটি দোকানপাট নতুন রঙে সেজে ওঠে দোকানে দোকানে হালখাতা অনুষ্ঠান চালু করা হয় ও এর সাথে মিষ্টি বিতরণ করা হয় সকলের মাঝে। পহেলা বৈশাখের দিনে পুরাতন সকল হিসাব চুকিয়ে নতুন হিসাবের খাতা ব্যবহার করা হয়। বাঙালিরা পহেলা বৈশাখে বরণ করে নেন পান্তা ইলিশের মাধ্যমে। বিশেষ করে এই দিনটিতে পান্তা ইলিশে খাবার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সংগঠনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা কোথাও আবার বৈশাখী মেলায় নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বৈশাখী মেলার প্রধান আকর্ষণ মৃধিল্প ও হস্তশিল্পের বিভিন্ন জিনিসপত্র এছাড়া এই মেলাতে নাগরদোলা, পুতুলনাচ, সার্কাস দেখা যায়। নতুন বছরের আগামী দিনগুলোকে সুন্দর ও আনন্দময় গড়ে তোলার জন্য প্রকৃতপক্ষে বাংলা নববর্ষ এই উৎসবটি পালন করা হয় । আমাদের সকলেরও উচিত আমাদের এই সংস্কৃতিকে যথাযথভাবে পালন করা ও আমাদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখা।
নোট: পরীক্ষার খাতায় অবশ্যই নিজের সৃজনশীল দক্ষতা ব্যবহার করে পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদটি লেখা উচিত। সৃজনশীল দক্ষতা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার সৃজনশীলতা যেমন ফুটে উঠবে তেমনি আপনার পরীক্ষার ফলাফল বেশ ভালো হবে।