নিসন্দেহে (মানুষের) জীবন বিধান হিসেবে আল্লাহ তায়ালার কাছে ইসলামই একমাত্র (গ্রহণযোগ্য) ব্যবস্থা। যাদের আল্লাহর পক্ষ থেকে কেতাব দেয়া হয়েছিলো, তারা )এ জীবন বিধান থেকে বিচ্যুত হয়ে) নিজেরা একে অপরের প্রতি বিদ্বেষ ও হিংসার বশবর্তী হয়ে (বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে) মতানৈক্যে লিপ্ত হয়ে পড়েছিলো, (তাও আবার) তাদের কাছে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) সঠিক জ্ঞান আসার পর। যে ব্যক্তি আল্লাহর বিধান অস্বীকার করবে (তার জানা উচিত), অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। সূরা আল্-ইমরান, আয়াত-১৯।

আারেক আয়াতে,
(এই) সেই (মহা) গ্রন্থ (আল কোরআন), তাতে (কোনো) সন্দেহ নেই, যারা (আল্লাহ তায়ালাকে) ভয় করে (এই কিতাব কেবল) তাদের জন্যেই পথপ্রদর্শক,- সুরা বাকারা, আয়াত-০২।
ইসলাম শব্দটি এসেছে “সিলম”বা “সালাম” ধাতু থেকে।সালাম বা “সিলম” এর অর্থ শান্তি, চুক্তি বা সন্ধি।
ইসলামের আবিধানিক অর্থ আত্বসমর্পন করা, আনুগত্য করা।
(হে মোহাম্মদ,) তুমি (তাদের) বলো, অবশ্যই আমার মালিক আমাকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন- সুপ্রতিষ্ঠিত জীবন বিধান, এটাই হচ্ছে ইবরাহীমের একনিষ্ঠ পৃথ, সে কখনো মোশরেকদের দলভুক্ত ছিলো না।
তুমি (একান্ত বিনয়ের সাথে) বলো, অবশ্যই আমার নামায, আমার (আনুষ্ঠানিক) কাজকর্ম, আমার জীবন, আমার মুত্যু- সব কিছুই সৃষ্টিকুলের মালিক আল্লাহ তায়ালার জন্যে।
সূরা আল-আনাম ১৬১-১৬২।
ইসলামী ধর্মগ্রন্থ এটি আল্লাহর নিকট একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। ইসলাম সকল মানুষের জন্য ধর্ম। ইসলাম শুধুমাত্র মক্কা-মদিনা বা আরব দেশ ও জাতির জন্য নয় বরং ইসলাম বিশ্বের আরব-অনারব, সাদা-কালো, ধনী-গরিব, সকল বর্ণ, গোত্র, জাতি এবং সকল মানুষের জন্যই প্রেরিত ও একমাত্র মনোনীত ধর্ম।