ইসলামে স্বামী স্ত্রী সহবাসের নিয়ম নিয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রিয় পাঠক ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম জানতে আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাকে স্বাগতম। আপনি অবশ্যই স্বামী স্ত্রী সহবাসের নিয়ম জানার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর আমাদের এই ওয়েবসাইটে এসে প্রবেশ করেছেন , কেননা আপনি জানতে চাচ্ছেন । ইসলামে স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম সম্পর্কে তেমনি আজকে আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো , যা আপনি কিভাবে স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম সঠিকভাবে পালন করতে পারবেন
তাহলে চলুন আর দেরি না করে এবং আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে মিজানুর রহমান আজহারীর মতে ইসলামে স্বামী স্ত্রী সহবাসের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক । আজকের এই আলোচনার মধ্যে মিজানুর রহমান আজহারীর এই সম্পর্কে আপনাদেরকে মূল্যবান আলোচনা করবেন এবং মিজানুর রহমান আজহারীর ইসলামের স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম আপনাদেরকে তার বক্তব্য অনুযায়ী আজকে আমরা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে সাজিয়েছি ।

ইসলামে স্বামী স্ত্রী সহবাসের নিয়ম । মিজানুর রহমান আজহারী।
এখানে আমি মিজানুর রহমান আজহারীর মতে ইসলামে স্বামী স্ত্রী সহবাসের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। স্ত্রীর ( ৩ ) নাম্বার কাজ হচ্ছে স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া দেওয়া কি দেওয়া? কি দেওয়া? স্বামী যদি স্ত্রীর সঙ্গ পেতে চায় স্ত্রীর ওই ডাকে সাড়া দিতে হবে । দিতে হবে রাতের বেলায় স্বামী যদি স্ত্রীর সঙ্গ চায় আর স্ত্রী যদি সঙ্গ না দিয়ে চলে যায় ফজর পর্যন্ত স্ত্রীর উপর আল্লাহর ফেরেশতারা লানত দিতে থাকে , চিল্লায়ে বলেন নাউজুবিল্লাহ ।
আরো পড়ুনঃ স্ত্রীর দুধে মুখ দেয়া যাবে কিনা । ইসলাম কি বলে
আল্লাহতালা স্বামীকে দিয়েছে স্বামীকে জানাবেন তবে ধীরে সুস্থে ধীরে সুস্থে স্বামীর জন্য ঘরটাকে এমন করে রাখতে হবে , যেন ঘরে ঢুকলেই স্বামীর হৃদয়টারে প্রশান্ত করে দেয় কে আল্লাহ এজন্য স্ত্রীর প্রথম দায়িত্ব ঘরটারে প্রশান্তির নীড় বানালো বানালো একটা সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য ।
( ২ ) দায়িত্ব হচ্ছে স্বামীকে inspire করা স্বামীকে সাহস জোগানো পিছন থেকে driving push এর মতো কাজ করা কারণ স্বামীকে যখন স্ত্রীর সাহস যোগায়, স্বামীর সাহস বেড়ে যায় ঠিক কিনা? আল্লার হাবিব এর কাছে কোরানের আয়াত নাজিল হলো -সুরা আলাকের ৫ আয়াত
اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ-
خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ-
اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ-
الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ-
عَلَّمَ الْإِنسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ-
★বাংলা অনুবাদ:-
১) পড়ো (হে নবী), তোমার রবের নামে ৷ যিনি সৃষ্টি করেছেন৷
২) জমাট বাঁধা রক্তের দলা থেকে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন৷
৩) পড়ো, এবং তোমার রব বড় মেহেরবান,
৪) যিনি কলমের সাহায্যে জ্ঞান শিখিয়েছেন৷
৫) মানুষকে এমন জ্ঞান দিয়েছেন, যা সে জানতো না৷
সুরা আলাকের ৫ আয়াত হেরা গুহায় যখন নাজিল হয়ে গেল বিশ্ব নবী সাইয়েদেনা জিবরাঈল আলাইহিস সাল্লাম কে নিজ চোখে দেখলেন , পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে বিশ্বনবী ভয় পেয়ে গেলেন । বিশ্ব নবী (সাঃ) জীবনে দুই বার , দুইবার ওনার আসল আকৃতিতে দেখেছিলো ।
এক হচ্ছে মেরাজ রজনীতে সিদরাসুল মুনতা হ্যায় – দুই হচ্ছে প্রথম যখন কোরানের আয়াত নাজিল হয় , বিশ্ব নবী (সাঃ) দেখলেন – বিশাল একজন ব্যক্তি , পা টা হচ্ছে হেরা গুহাই আর মাথাটা হচ্ছে আকাশের উপরে এ বিশাল একটা লোক ।
সে কোরানের সুরা আলাকের প্রথম ৫ আয়াত নিয়ে এসেছে আর বলতে শুরু করেছে আপনি পড়ুন , আপনি পড়ুন আপনি পড়ুন তিনবার পড়ার আদেশ করার পরে বিশ্ব নবী (সাঃ) পড়তে আরম্ভ করলেন
اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي
خَلَقَخَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ
اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ
الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ
عَلَّمَ الْإِنسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ
প্রথম কোরানের আয়াত যখন নাযিল হয়ে গেল । বিশ্ব নবী (সাঃ) ভয় পেয়ে গেলেন হাত আল্লার হাবিব (সাঃ) সে ইসলাম ভয় পেয়ে গেলেন আপনাদের মনোযোগ তো নাই মনে হচ্ছে । কোরআনের আয়াত যখন নাযিল হলো আল্লাহ রফিশুল ইসলাম ভয় পেয়ে গেলেন । বিশ্ব নবী (সাঃ) হৃদয় কাঁপতে আরম্ভ করলো , কোরানের পাঁচ আয়াত নিয়ে হেরাগুহা থেকে বিশ্বনবী আম্মাজান খাতিজাতুল কুবরা কাছে চলে আসলেন , এসে ডেকে বললেন খাতিজা কম্বল দিয়ে তুমি আমারে চাপা দাও আমার ভয় লাগছে , মনে হয় আমি বাঁচবো না । আম্মাজান খাদিজা বললেন কি হয়েছে আপনার বিশ্ব নবী বললেন বিশাল একটা লোক।
কোরানের ৫ আয়াত নিয়ে এসেছে ওই লোকের পা হেরা গুহার মধ্যে মাথাটা আকাশের উপরে এত বিশাল সত্তা বিশাল কোন মানুষ জীবনে আমি দেখি নাই । এসেছে পরিচয় দিয়েছে সে নাকি জিব্রাইল ফেরেস্তা । বিশ্বনবী বললেন মনে হয় আমি বাঁচবো না । আমার জ্বর চলে এসেছে আমার হৃদয়ের মধ্যে কাঁপুনি শুরু হয়েছে তুমি আমারে কম্বল দিয়ে চাপা দাও । আম্মাজান খাদিজা বললেন ও নবী ভয় পাবেন না আমার আল্লাহ কোনদিন আপনারাকরবেন না ।
নবি গো আল্লা আপনারে অপমান করবেন না , কারণ আপনার মধ্যে এমন এমন ভালো ভালো গুণ আছে এই গুণাবলী গুলি যেই মানুষের মধ্যে থাকে তাকে আমার রব কোনোদিন অপমান করতে পারে না , চিল্লায়ে বলেন ঠিক কিনা? আপনি আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখেন ও নবী সব সময় আপনি সত্য কথা বলেন ।
আপনি মানুষের বোঝা টেনে দেন , জার উপার্জন করার কেউ নাই নিজে গায়ে খেটে আপনি তারে উপার্জন করে দেন , সত্য যেখানে বিপন্ন সেখানে আপনি সাহসী সৈনিকের মতো দাঁড়িয়ে যান – সুবহানাল্লাহ নবী হে আপনি ভয় পাবেন না কারণ আপনি এমন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ।
এমন জনকল্যাণমূলক কাজের আঞ্জাম আপনি দেন , এরকম লোককে আল্লাহ কখনো অপমান করতে পারে না ? আপনি চালিয়ে যান , আপনাকে থামানোর মতো অপশক্তি গোটা বিশ্বে দ্বিতীয়টা নাই । চিল্লায় বলেন ঠিক কিনা? বিশ্বনবীকে সাহস যুগিয়েছেন ।
আরো পড়ুনঃ {অজানা তথ্য} স্বামী স্ত্রীর মিলন । স্বামী স্ত্রীর মিলনের ইসলামিক নিয়ম 2024
এরকম সাহস জোগানোর মতো স্ত্রী আমাদের দরকার আছে না নেই? বিশ্ব নবী সারাদিন বাইরে যখন কাফের মুর্শিকদের অত্যাচার অনাচার সহ্য করে ঘরে আসতেন , আম্মাজান আয়েশা এমন সাহসিকতার বাণী শোনাতেন এমন মোটিভেশন শোনাতেন ।
এমন ইন্সপায়ারেশন দিতেন বিশ্ব নবী সারাদিনে সব দুঃখ কষ্ট ভুলে গিয়ে এর পরের দিনের দাওয়াতী কাজের জন্য নতুন করে এনার্জি ফিরে পেতেন । চিল্লায়ে পড়েন আল্লা হো আকবর এই জন্য স্ত্রী, দুই নাম্বার কাজ হচ্ছে স্বামীকে সাহস জোগানো দুই নাম্বার কাজ কি
স্বামীকে সাহস জোগানো , স্বামীকে সাপোর্ট দেওয়া – স্ত্রীর তিন নাম্বার কাজ হচ্ছে স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া – দেওয়া কি দেওয়া? কি দেওয়া? স্বামী যদি স্ত্রীর সঙ্গ পেতে চায় স্ত্রীর ওই ডাকে সাড়া দিতে হবে রাতের বেলা স্বামী যদি স্ত্রীর সঙ্গ চাই ।
স্ত্রী যদি সঙ্গ না দিয়ে চলে যায় , ফজর পর্যন্ত স্ত্রীর উপর আল্লাহর ফেরেস্তারা লানত দিতে থাকে চিল্লায়ে পড়েন তবে হ্যাঁ ভ্যালিড যদি কোন কস থাকে ভ্যালিড কস, অসুস্থতা, অন্যান্য কমপ্লেক্স সিটি যদি থাকে সেটা ভিন্ন ব্যাপার কিন্তু ইগোর কারণে ।
মেজাজ দেখিয়ে, রাগ দেখিয়ে কোনো গুন যদি স্বামীর আহ্বানে সাড়া না দিয়ে মুখ ফিরিয়ে চলে যায় ফজর পর্যন্ত আল্লার ফেরেস্তারা ওই মহিলার উপর লানত দিতে থাকে আওয়াজ করে পড়তে হবে না নাউজুবিল্লাহ ।
উপসংহার – ইসলামে স্বামী স্ত্রী সহবাসের নিয়ম । মিজানুর রহমান আজহারী
প্রিয় পাঠক, ইসলামে স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম সম্পর্কে মিজানুর রহমান আজহারীর যে বক্তব্য উনি দিয়েছেন সে অনুযায়ী আজকে আর্টিকেলটি আমরা সাজিয়েছি , আশা করছি মিজানুর রহমান আজহারীর বক্তব্য গুলো আপনাদের ভালো লেগেছে এবং উনি যে ইসলামের স্বামী স্ত্রী সহবাসের নিয়ম সম্পর্কে বলে দিয়েছেন তা অবশ্যই আপনারা মেনে চলবেন কেননা এটা আমাদের প্রিয় নবী সাঃ এর সুন্নত তরিকায় মিজানুর রহমান আজহারী তার সুন্দরভাবে আমাদেরকে গণনা করে দিয়েছেন ।
তাই আজকের আর্টিকেলটা যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধু-বান্ধবদের শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং নিয়মিত এরকম পোস্ট পেতে আমাদের সাইটের সঙ্গেই থাকবেন এবং আমাদের সাইটটি সবসময় ভিজিট করার জন্য অনুরোধ রইল ধন্যবাদ ।